ধ্যান-অভ্যাস পদ্ধতির বিভিন্ন ধাপগুলি এইরকম –
- স্বচ্ছন্দে আপনার পছন্দসই স্থানে বসুন।
- আপনি ভূমিতে জোড়াসনে বসতে পারেন / চেয়ারে অথবা সোফায় বসতে পারেন। অথবা , বসতে অসমর্থ হলে শুয়ে থেকেও ধ্যানাভ্যাস করতে পারেন।
- ১ থেকে ২ মিনিট গুরু সিয়াগের ফটোগ্রাফের দিকে তাকান যাতে আপনি সেটি স্মরণ করতে পারেন। গুরু সিয়াগের যে কোনো ছবির সাহায্য নিতে পারেন। ছবির বিভিন্ন গুণমান ( সাদা-কালো , মুদ্রিত অথবা সফটকপি ইত্যাদি) ধ্যানের ক্ষেত্রে কোনো ফারাক ঘটায় না।
- এবারে দু-চোখ বন্ধ করে মনে মনে গুরু সিয়াগের কাছে প্রার্থনা জানান যে — ” আমাকে ১৫ মিনিটের জন্য ধ্যানে প্রবেশ করতে সাহায্য করুন। “
- এরপর দু-চোখ বন্ধ রেখেই আজ্ঞাচক্রে — কপালের কেন্দ্রস্থলে ( দুই ভ্রূ-র মধ্যস্থানের সামান্য উঁচুতে ) গুরু সিয়াগের ছবিটিকে কল্পনা করুন। ঐ বিন্দুটি তৃতীয় নয়ন হিসেবেও সুপরিচিত। আসলে গুরু সিয়াগের ছবিটিকে মনে মনে কল্পনা করে আপনাকে ঐ ছবিটি কপালের কেন্দ্রে স্থাপন করতে হবে।
- ছবিটিকে ঐ স্থানে কল্পনা করতে করতেই আপনাকে গুরু সিয়াগ প্রদত্ত মন্ত্রটি নীরবে মনে মনে ১৫ মিনিট ধরে জপ করতে হবে।
- ধ্যানের সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আপনার দেহে বিভিন্ন যোগভঙ্গিমা কিংবা যৌগিক-ক্রিয়া ঘটতে পারে। দেহ দুলতে থাকা , মাথা দোলা , বাঁয়ে-ডাইনে অথবা ডাইনে-বাঁয়ে দ্রুতগতিতে মাথা নড়া , পেটের সংকোচন-প্রসারণ , করতালি , ভিতর থেকে বিচিত্র ধ্বনি নির্গত হওয়া , কান্না অথবা হাসির মতন নানান ঘটনাই বহুক্ষেত্রেই ঘটে থাকে। এতে আতঙ্কিত বা উদবিগ্ন হবার কিছু নেই। এই স্বয়ংক্রিয় ঘটনাগুলি এক দৈব নির্দেশেই ঘটে থাকে এবং এটি আপনার আভ্যন্তরীণ মলিনতার মুক্তি ও পরবর্তী অগ্রগতির জন্য জরুরি।
- অবশ্য , আপনার যদি এই যৌগিক ক্রিয়াগুলি বা কোনোপ্রকার দর্শন নাও ঘটে থাকে, তার মানে এই নয় যে আপনার কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। সুনিশ্চিতভাবেই দিব্যশক্তি আপনার ভিতর জাগ্রত হয়েছেন, এবং হয়তো তাঁর মনে হয়েছে যে, আপনার জন্য এই অভিজ্ঞতাগুলির কোনো প্রয়োজন নেই।
- আপনি যে সময়সীমা নির্দিষ্ট ক’রে ধ্যানে বসেছিলেন , লক্ষ্য ক’রে দেখবেন ঠিক সেই সুনির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হবার পরেই আপনার ধ্যান শেষ হয়েছে।