একটি দিব্যমন্ত্র জপ (মানসিক জপ) এবং ধ্যান — G.S.Y. অনুশীলনের এই দুটি দিক। গুরু সিয়াগ সাধক/সাধিকাকে বীজমন্ত্র দানের মাধ্যমে দীক্ষাপ্রদান করেন (যেটি তাকে নীরবে সারাদিনমান ধরে জপ করতে হয়) এবং ধ্যানশিক্ষা দেন। কিছু সময় ধরে নিয়মিত মন্ত্রজপ করলে তা স্বয়ংক্রিয় ভাবেই চলতে থাকে।
যদিও এ বিষয়টি সরাসরি সাধকের আকাঙ্ক্ষার তীব্রতা, বিশ্বাস এবং আন্তরিকতার উপর নির্ভরশীল। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সপ্তাহ খানেক অনুশীলনের পরেই মন্ত্রোচ্চারণ স্বয়ংক্রিয় হয়ে ওঠে, অপরাপর ক্ষেত্রে এক পক্ষকাল বা কয়েকমাসও সময় লাগতে পারে। নিয়মিত নামজপ ছাড়াও সাধককে দিনে দুই বা তিনবার (১৫ মিনিট করে) ধ্যানাভ্যাস করতে হয়।
ধ্যান এবং মন্ত্রোচ্চারণ এই দুই একযোগে সুপ্ত কুণ্ডলিনীকে (সাধকের দেহাভ্যন্তরের একটি শক্তিপ্রবাহ বিশেষ) জাগ্রত করে দেয়। জাগ্রত কুণ্ডলিনী স্বতস্ফূর্ত যোগাসন, ক্রিয়া, বন্ধ, প্রাণায়াম ও মুদ্রা সংঘটিত করে; অর্থাৎ, ধ্যান চলাকালীন সাধকের দেহে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই সব যৌগিক ক্রিয়া ঘটে যেতে থাকে।