প্রাচীন ভারতীয় দর্শনে কুন্ডলিনী শক্তির উল্লেখ আছে । প্রাচীন ভারতীয় দার্শনিকদের মতে কুন্ডলিনী শক্তিই হল ব্রহ্মান্ডের মুল শক্তি (Cosmic Energy) । মহাবিশ্বের সবকিছুই এই শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় । বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা যে গড , আল্লা , বা ঈশ্বরের উপাসনা করে তা প্রকৃতপক্ষে এই ‘ কুন্ডলীনি শক্তি ’ । এই শক্তি সব কিছুর মধ্যেই আছে । মানুষের মধ্যেও এই শক্তি আছে । যৌগিক দর্শনের মতে আমাদের সুষুম্না কান্ডের সবচেয়ে নীচে ‘ মূলাধার চক্রে ’ কুন্ডলিনী শক্তি সুষুপ্ত অবস্থায় অর্থাৎ ঘুমন্ত অবস্থায় থাকে । ‘কুন্ডলিনী ’ সক্রিয় আছে এমন কোন শক্তি সম্পন্ন গুরু ‘ শক্তিপাত দীক্ষার ’ মাধ্যমে সাধকের কুন্ডলিনী শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে পারেন । কুন্ডলিনী বিভিন্ন শক্তি চক্র অতিক্রম করে ‘সহস্রার চক্র’তে উপনীত হয় । তখন মানুষ মোক্ষ লাভ করে । ভারতীয় দার্শনিকদের মতে মোক্ষ লাভ করতে কয়েক জন্ম-ও লেগে যেতে পারে ।