পরবর্তী পর্যায়ের আধ্যাত্মিক সাধনার দিনগুলিতে গুরুদেব স্বামী বিবেকানন্দ প্রচারিত বৈদিক দর্শন সম্পর্কে অবহিত হন।স্বামী বিবেকানন্দ বিংশ শতাব্দীর অধ্যাত্ম-জগতের মহান প্রতিনিধিস্থানীয় মানবের মধ্যে অন্যতম , যিনি কেবলমাত্র ভারতবর্ষেই নয়, সেইসঙ্গে আমেরিকা ও ইউরোপেও বৈদিক আধ্যাত্মিক পুনর্জাগরণ ঘটিয়েছিলেন। বিবেকানন্দ গুরু-শিষ্য পরম্পরার পুন:প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আধ্যাত্মিক বিকাশের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছিলেন। বিবেকানন্দের উপদেশ শ্রবণের পরই গুরুদেব আন্তরিক আগ্রহের সঙ্গে গুরুর সন্ধান করতে লাগলেন। গুরুদেবের আত্মীয়দের মধ্যে একজন তাঁকে এ ব্যাপারে বিকানের-এর ২৭ কিলোমিটার উত্তরে জামশেরর সন্ন্যাসী যোগী বাবা শ্রী গঙ্গাইনাথজির কথা বললেন। ১৯৮৩-র এপ্রিলে গুরুদেব ঐ আশ্রমে যান।
প্রথম সাক্ষাৎকারে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছুই ঘটে নি — একদল ভক্ত গঙ্গাইনাথজির উপস্থিতিতে ধ্যানের উদ্দেশ্যে একত্র জড়ো হয়েছিলেন। গুরুদেব সকলের পিছনে বসে সবকিছু নিরীক্ষণ করছিলেন। যেহেতু এই সাক্ষাতে দুজনের মধ্যে কোনোকিছুই আদান-প্রদান হয়নি সেকারণেই গুরুদেব কিছুদিন বাদে আবারও বাবার আশ্রমে যেতে মনস্থ করলেন। এই দ্বিতীয় সাক্ষাতেই গুরুদেব বাবার চরণপ্রান্তে নত হয়েছিলেন , বাবাও গুরুদেবের মাথায় হাত ছুঁইয়ে তাঁকে আশীর্বাদ করেছিলেন। বাবা গুরুদেবকে স্পর্শ করা মাত্র গুরুদেব শরীরে প্রবল প্রাণশক্তি অনুভব করলেন ; তাঁর দেহের মধ্য দিয়ে যেন বিদ্যুৎ তরঙ্গ সঞ্চারিত হয়ে গেল। এর মধ্য দিয়েই বাবা যেমন গুরুদেবকে দীক্ষা দিয়েছিলেন, তেমনই একইসঙ্গে তাঁকে যেন দিয়ে গিয়েছিলেন ‘সিদ্ধ গুরু’র উত্তরাধিকার।