গুরু সিয়াগ হলেন এক সিদ্ধ গুরু — এমনই এক আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক যিনি একজন্মেই সগুণ (ঈশ্বরের সাকার ও গুণযুক্ত রূপ ) ও নির্গুণ ( ঈশ্বরের নির্গুণ ও নিরাকার রূপ ) সিদ্ধি প্রাপ্ত হয়েছেন। গুরুদেবের ঐশ্বরিক শক্তি কেবলমাত্র তাঁর দেহের সীমায় সীমায়িত নয়। অদৃশ্য, সূক্ষ্ম রূপে তাঁর দিব্যশক্তি সমস্ত বিশ্বজগতেই পরিব্যাপ্ত। এবং, তাঁর শারীরিক সাক্ষাৎ উপস্থিতির মতোই তাঁর ফটোগ্রাফও ধ্যানের ক্ষেত্রে একইরকম ফলদায়ী। গুরু সিয়াগের ফটোগ্রাফের ধ্যান আসলে তাঁর কৃপার আবাহন। গুরু সিয়াগের কথায়, “গুরু হলেন এক মহাকর্ষীয় বল। এই দেহ গুরু নয়। কিছু বছরের মধ্যেই এই দেহের মৃত্যু ঘটবে। গুরু আছেন আপনার অন্তরে। যোগবিজ্ঞানে স্থান-কালের কোনোই মূল্য নেই। আমি আপনার এবং আপনি আমার অন্তরে। যে মুহূর্তে আপনি আমায় স্মরণ করবেন, আমি উপস্থিত হবো। গুরু যদি সত্যিকারের গুরু হন, তবে তিনি সর্বত্র বিরাজমান ।”
যখনই কোনো ইচ্ছুক ব্যক্তি টি.ভি., সিডি বা ই-মেইলে পাঠানো ভিডিও ক্লিপের মাধ্যমে গুরুদেবের মন্ত্রদীক্ষা প্রাপ্ত হন, সে মুহূর্তেই তিনি একজন শিষ্য হিসেবে গণ্য হন এবং সূক্ষ্মস্তরে গুরুদেবের সঙ্গে চিরস্থায়ী সম্পর্ক স্থাপনে সমর্থ হন। সুতরাং, দৈহিক বিচারে কাছেই থাকুন বা বহুদূরে — প্রকৃতপক্ষে গুরুদেব সর্বদা শিষ্যের সঙ্গেই থাকেন। অন্তর থেকে স্মরণ করবার বা প্রার্থনা জানানোর সঙ্গেসঙ্গেই গুরুদেবের সুরক্ষাপ্রদানকারী ও দিকনির্দেশকারী উপস্থিতি শিষ্য অনুভব করতে পারেন। এ কারণেই তাঁর সাক্ষাৎ আশীর্বাদ লাভের মতোই গুরুদেবের একটি ফটোগ্রাফও সমান ফলদায়ক ও কার্যকরী।